নিজস্ব প্রতিনিধি :
হাজী মোঃ আক্তার হোসেন বিগত পাঁচ বছর ধরে সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে বহির্ভূত ভাবে ফ্যানের ফ্যাক্টরি চালিয়ে যাচ্ছেন? প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই লোগো, বিডিএস নাম্বার টা বসিয়েছেন ঠিক কিন্তু বিএসটিআই অনুমোদন বা লাইসেন্স নাম্বার ও বারকোড নেই । ২০০৬ এবং সংশোধনী ২০১৩ শ্রম লাইসেন্স নেয়ার বাধ্যতামূলক, তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় হাজী মোঃ আক্তার এর ফ্যাক্টরিতে প্রায় ৪০ জনের অধিক শ্রমিক আছে , তার মধ্যে ১৮ বছরের নিচেও কিছু শিশু শ্রমিক আছে ।
ফ্যানের কারখানায় ,ঝুঁকিপূর্ণ কাজ , যেমন ভারী মেশিনে কাজ ,তাপমাত্রা বৃদ্ধি, এবং দ্রুত গতিতে মেশিন চালানো এগুলো,শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করতে পারে। শিশুশ্রম আইন অনুযায়ী যদি কোনো শিশুদের কাজে নিয়োগ দেওয়া হয় , তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে যা অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড ও হতে পারে। হাজি আক্তারের ফ্যাক্টরিতে বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিক লাইসেন্স নেই, বিদ্যুৎ কোম্পানি পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া শিল্প সংযোগ দিতে পারবেনা।
কোনোভাবে সংযোগ পেলে পরে পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিশ দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতে পারে। জরিমানা করতে পারে! আরো জানা যায়, হাজী আক্তারের নেই পরিবেশের এর ছাড়পত্র,পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, ছাড়পত্র ছাড়া শিল্প কলকারখানা চালালে, প্রশাসনিক জরিমানা এক লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনে কারখানা বন্ধও করে দিতে পারে (Sealing Order)। কিছু ক্ষেত্রে মামলাও হতে পারে।
ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রেশন ও পণ্য বিক্রি করতে চাইলে পরিবেশ ছাড়পত্র অবশ্যই লাগবে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও সেফটি ট্যাংকিও নেই, হাজী আক্তার হোসেন এর। ফ্যান ফ্যাক্টরিতে যদি ফায়ার সার্টিফিকেট না থাকে, তাহলেলাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত,পরিবেশ ছাড়পত্র, শ্রম লাইসেন্স, বিদ্যুৎ শিল্প সংযোগ – অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ফায়ার সার্টিফিকেটের ওপর নির্ভর ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়ন আটকে যাবে । হাজী আক্তার হোসেন বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যান নকল করেও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বাজারজাত করছেন তাতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ।
একাধিকবার হাজী আক্তারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে একাধিকবার ফোনটি কেটে দেন, আবাসিক এলাকার ফ্যান ফ্যাক্টরি হওয়ার কোন সুযোগ নেই কিন্তু হাজী আক্তার, পরিবেশ ও শব্দ দূষণ করে ফ্যাক্টরিতে সিসা, দস্তা, নানান কেমিক্যাল এর মাধ্যমে গালানোর কারণে পরিবেশ ও বাতাস ভারী ও দূষিত হয়ে যাচ্ছে যাতে শিশু ও বয়স্ক লোকেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কিছু বলতে গেলে হাজী আক্তার তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মানুষকে হুমকি প্রদান করছেন বলে জানা যায় ।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসেন হাজী আক্তার হোসেন ঢাকার জুরাইন এলাকার যে জায়গায় ফ্যাক্টরিটি স্থাপনা করেছেন সেই জায়গাটি ও ভূমি দস্যুদের দখলে এই বিষয়েও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ রইল। হাজী মোঃ আক্তার হোসেনের অবৈধ ফ্যাক্টরি বন্ধের জন্য, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান,পরিবেশ অধিদপ্তরে ডিজি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, কলকারখানার মহাপরিচালক, বিএসটিআই মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর মহাপরিচালক,ব্যবস্থা নেবেন। এই বিষয়ে লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হবে বলে জানা যায়।