জেলা প্রতিনিধি,আনোয়ার হোসেন:
যশোর প্রতি মাসে শত শত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও করোনা পরীক্ষার কিট মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে। অব্যবহৃত আছে করোনার প্রায় ৭ হাজার ভ্যাকসিন । বর্তমানে পৌরসভায় ২ হাজার ২০০ এবং সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৬০০ ডোজ ভ্যাকসিন অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত ভ্যাকসিন এলেও সাধারণ মানুষ আগ্রহ না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা।গতকাল রোববার সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভাইরাস রোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং নতুন করে কোনো উপকরণ সংযোজন করার প্রয়োজন থাকলে সেগুলো এখন প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যশোর জেলায় করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার প্রয়োজন, তার সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ডা মাসুদ রানা বলেন, সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোর সদর শহরে একজন নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি আগের মতো সংক্রামক না হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন । তবুও তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে।