আলভী মাহমুদ আলিফ প্রতিনিধি :
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযান এবং নিবিড় তত্ত্বাবধাণের মাধ্যমে গত ২০১৮ এবং ২০২০ সালের ৭৭ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয় এবং তাদের আত্মসমর্পণ পরবর্তী সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসে। উপকুলীয় এলাকায় ডাকাতি, জলদস্যুতাসহ নানামূখী অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ২০২৪ সালে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম আরোও ৫০ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উল্লেখিত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের পর থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ঈদ সামগ্রী উপহার এবং প্রণোদনা প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৩ মার্চ ২০২৫ ইং, রোজ রবিবার ১১:৩০ মিনিটের সময় মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী এবং পেকুয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আত্মসমর্পণকৃত আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল, বাঁশখালী চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২৫ উপলক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবন যাপনের উপর একটি বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় লেঃ কর্ণেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি, অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, উপ-পরিচালক মেজর মোঃ সাদমান সাকিব, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ.আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন, মিডিয়া অফিসার, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, জনাব মিজানুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, বাঁশখালী এবং জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ বাঁশখালীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুরা র্যাবের এরুপ কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ ও অপকর্ম থেকে ফিরে এসে সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা যোগানোর কথা প্রকাশ করে।