মোঃ জায়েদ হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেসা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে জনগণের অধিকার পরিষদ দশমিনা শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাকসু সভাপতি ও জনগণের অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জনগণের অধিকার পরিষদের সভাপতি লিয়াকত হোসেন হাওলাদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, জনগণের অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আলম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি আজহার পয়াদা, হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনের সভাপতি আমির হামজা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের অধিকার পরিষদ দশমিনা শাখার নেতারা।
আলোচনা সভায় জনগণের অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, “রমজান মাস রোজার মাস। আমি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। জনগণের ভোট পেতে হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। চাঁদাবাজি, লুটপাট ও জমি দখল করে জনগণের ভোট পাওয়ার দিন শেষ। জনগণের অধিকার পরিষদ সব সময় জনগণের স্বার্থ পূরণের জন্য কাজ করে আসছে। এই সংগঠন একদিনে গড়ে ওঠেনি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দশমিনায় মাদকের বিস্তার বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না, প্রতিটি মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ী ও ডিলারদের জনগণের অধিকার পরিষদের সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাও নেই। যারা জনগণকে জিম্মি করে ভোটের রাজনীতি করে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের পতনের পর সাধারণ জনগণ বুঝে গেছে, কাকে ভোট দিতে হবে। জনগণের ভালো-মন্দ বোঝার সাধ্য রয়েছে। জনগণের অধিকার পরিষদের প্রতিটি সদস্য সবসময় জনগণের সকল কাজে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।”
