আলভী মাহমুদ আলিফ প্রতিনিধি :
মামলার বাদী মোঃ সাদেকুল ইসলাম (৫০) এর মেয়ে ভিকটিম একজন কলেজ ছাত্রী। আসামী ১। ইকবাল হোসেন (২৮), ২। আনছার আলী (৬৫) ৩। আবদুল মালেক (৬০) বাদীর প্রতিবেশী। গত ১৬/০৩/২০২৫ ইং তারিখে ভিকটিম বিকাল অনুমান ৪:৩০ মিনিটের সময়ে তার শিক্ষকের বাসায় গাইড নিতে যাচ্ছিলেন। একই তারিখ বিকাল ৫:০০ টার সময় পথে পূর্বপরিচিত মুদি দোকানি ইকবাল ওই ছাত্রীকে রাজশাহী জেলার তানোর থানাধীন চান্দুরিয়া বাজারস্থ মুদি দোকানের সামনে ডাকেন। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে উক্ত দোকানের সামনে গেলে ১ নং আসামী ইকবাল ভিকটিমের হাত ধরে জোরপূর্বক দোকানের ভিতরে নিয়ে গেলে ইকবালের সহযোগী চা দোকানি ২নং আসামী মালেক দোকানের শার্টার নামিয়ে দেন।
বিকাল ৫:১০ মিনিটের সময় রাজশাহী জেলার তানোর থানাধীন চান্দুরিয়া বাজারস্থ আসামী ইকবাল তার মুদি দোকানের মেঝেতে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তাহার পড়নের পায়জামা খুলিয়া ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে সন্ধা ৬:৪০ মিনিটের সময়ে ২ নং আসামী দোকানের শার্টার খুলিয়া দিলে ১ নং আসামী ভিকটিমকে দোকানের ভিতর রাখিয়া পুনরায় দোকানে তালা মেরে বাহিরে যান। একই তারিখ ৭:৪০ মিনিটের সময় ১নং ও ৩নং আসামী দোকানে প্রবেশ করে ৩নং আসামী আনছার আলী ভিকটিম কে দোষারোপ করে গালিগালাজ করে হাত ধরে টেনে হিছরে দোকানের বাহিরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বাবাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে না গেলে পরে ৩ নং আসামী ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে রেখে আসেন।চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রাজশাহী জেলার তানোর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২২, তারিখ ১৭/০৩/২০২৫, ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১)/৩০। ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট, ইলেক্টনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অভিযানিক দল কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০শে মার্চ ২০২৫ ইং ১:৪৫ মিনিটের সময় নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানাধীন ইয়াছিনপাড়া এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে মামলার ১ নং এজাহার নামীয় আসামী ১। মোঃ ইকবাল হোসেন (২৮), পিতা- মোঃ আনছার আলী, সাং- চান্দুরিয়া, থানা-তানোর, জেলা- রাজশাহী কে মামলা রুজুর ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। আসামীকে উক্ত ধর্ষণ মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রাজশাহী জেলার তানোর থানার ধর্ষণ মামলা মূলে হস্তান্তর করা হইয়াছে।
