আলভী মাহমুদ আলিফ প্রতিনিধি :
নিহত ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন খালপাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। বিগত ৮ বছর পূর্বে জৈনক হৃদয় মিয়া এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহ পর হতে স্বামী হৃদয় মিয়া বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ৭;৩০ মিনিটের সময় নিহত ভিকটিম তার করর্মস্থল থেকে বাসায় আসলে হৃদয় মিয়া এবং তার মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হৃদয় মিয়া ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরত্বর রক্তাক্ত জখম করে এবং গলায় গমছা পেচিয়ে মৃত্যু নিাশ্চত করে বাসার বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীরর পতেঙ্গা থানায় মোঃ হৃদয় মিয়া’কে আসামী করে একটি মামলার দয়ের করেন। যার মামলা নং-১৬, তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫ইং, ধারাঃ ৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার একমাত্র আসামী’কে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। নজরদারির একপর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার পলাতক আসামী মোঃ হৃদয় মিয়া সিলেট মহানগরীর দক্ষিন সুরমা থানাধীন বাইপাস এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১১:০৫ মিনিটের সময় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-৯ সিলেট এর যৌথ অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ হৃদয় মিয়া (২৭), পিতা-মোঃ আব্দুল লতিফ, সাং-ফতেপুর, থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্ণিত মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মাহানগরীর পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।