আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় এক মাসেরও বেশি সময় পিছিয়ে দিয়েছে। এই কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়েছে।
আইএমএফের প্রতিটি কিস্তি পেতে সরকারকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে। কর সংগ্রহ ব্যতীত সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সংস্থাটির ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা সফরে আসে।
এই সময়ে তারা কর অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্যও পরামর্শ দেয় আইএমএফ। বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহের কৌশল হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে।
এর আগে, গত ১৯ ডিসেম্বর আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের ঐকমত্য হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, চলমান কর্মসূচির আওতায় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলার করার বিষয়েও তারা সম্মত।